মালয়েশিয়ান স্পেস এজেন্সির (MYSA) মহাপরিচালক দাতুক আজলিকামিল নাপিয়াহ জানিয়েছেন, জাতীয় মহাকাশ নীতি ২০৩০-এর অংশ হিসেবে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। এই রকেট উৎক্ষেপণ কেন্দ্রটি পাহাং, সারাওয়াক এবং সাবাহ-এর তিনটি স্থান থেকে বাছাই করে তৈরি করা হবে। তিনি বলেন, এটি দেশের মোট দেশজ উৎপাদনে ১০ বিলিয়ন রিঙ্গিতেরও বেশি আয় করতে পারে। এই ধরনের উচ্চাভিলাষী প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে মালয়েশিয়া মহাকাশ শিল্পে আঞ্চলিক নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবে।
আজলিকামিল নাপিয়াহ আরও বলেন, এই প্রকল্পের জন্য তিনটি পক্ষ আগ্রহ দেখিয়েছে এবং একটি পূর্ণাঙ্গ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদনও জমা দিয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, বিষুবরেখার কাছে মালয়েশিয়ার ভৌগোলিক অবস্থান একটি বড় সুবিধা, কারণ এটি রকেট উৎক্ষেপণে জ্বালানি খরচ কমিয়ে দেয়। এই সুবিধা কাজে লাগিয়ে তারা নিজেদের পৃথিবী পর্যবেক্ষণ উপগ্রহ স্থাপন এবং একটি 'মহাকাশ শহর' তৈরির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
এই প্রকল্পটি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে, যেখানে সরকার এবং বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা সমানভাবে খরচ ভাগ করে নেবে। এর কাজ ২০২৯ সালের প্রথম দিকে শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই ধরনের আধুনিক প্রযুক্তি এবং অবকাঠামো উন্নয়নে মালয়েশিয়ার এই সাহসী পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে এশিয়ার অন্যান্য দেশের জন্য অনুপ্রেরণা হবে। (সূত্র: মালয়েশিয়ান স্পেস এজেন্সি ও স্থানীয় সংবাদমাধ্যম)