শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে এই হামলা হয়। লন্ডন হিথ্রো, বেলজিয়ামের ব্রাসেলস এবং জার্মানির বার্লিনের মতো ব্যস্ততম বিমানবন্দরের চেক-ইন এবং বোর্ডিং পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। কলিন্স অ্যারোস্পেস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, 'প্রযুক্তিগত ত্রুটির' কারণে তারা আপাতত পরিষেবা দিতে পারছে না এবং সমস্যা সমাধানে সময় লাগছে।
কলিন্স অ্যারোস্পেস বিশ্বের বিভিন্ন বিমান পরিবহন সংস্থা এবং বিমানবন্দরে পরিষেবা প্রদান করে। তাদের সিস্টেমে এই সাইবার হামলা সরাসরি ফ্লাইট বাতিল করতে বাধ্য করেছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে যাত্রীদের মোবাইলে বার্তা পাঠিয়ে ফ্লাইট বাতিলের খবরটি জানিয়েছে।
এই ঘটনাটি প্রযুক্তিগত নির্ভরতার একটি বড় দুর্বলতা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। যেখানে প্রতিটি সেক্টর এখন প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল, সেখানে একদল হ্যাকার খুব সহজেই বিশ্বকে অচল করে দিতে পারে। এটি প্রমাণ করে, আমাদের সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটা ভঙ্গুর এবং শক্তিশালী ডিজিটাল সুরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা কতটা জরুরি। ব্রাসেলস বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তা জানান, “ইন্টারনেট পরিষেবা স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে যাত্রীদের চেক-ইন ও বোর্ডিং ব্যবস্থা চলবে। তবে এতে প্রতিটি ফ্লাইট প্রায় ৫৪ মিনিট দেরিতে ছাড়বে।” এই সামান্য বিলম্বই বলে দেয়, প্রযুক্তির অভাবে আধুনিক বিশ্ব কতটা অসহায়। (সূত্র: ডেইলি মেইল ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম)