প্রযুক্তিপ্রেমী তরুণদের জন্য সুখবর! আপনার প্রতিদিনের ফেসবুক স্টোরি এখন শুধু বন্ধুদের বিনোদন নয়, আয়েরও উৎস হতে পারে। ফেসবুক তার মনিটাইজেশন প্রোগ্রামের আওতায় কনটেন্ট নির্মাতাদের জন্য এক নতুন দুয়ার খুলে দিয়েছে: এখন থেকে আপনার পাবলিক স্টোরি থেকে ভিউ ও এনগেজমেন্টের ভিত্তিতে টাকা উপার্জন করা যাবে! এটি বাংলাদেশের ডিজিটাল কনটেন্ট নির্মাতাদের জন্য একটি যুগান্তকারী সুযোগ।
ফেসবুক থেকে আয়ের এই নতুন সুযোগের জন্য কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। প্রথমত, আপনার প্রোফাইল বা পেজটি অবশ্যই প্রফেশনাল মোডে থাকতে হবে এবং আপনাকে ফেসবুকের পার্টনার মনিটাইজেশন পলিসি মেনে চলতে হবে। আপনার স্টোরিগুলো হতে হবে ‘পাবলিক’, কারণ ‘ফ্রেন্ডস অনলি’ স্টোরি থেকে কোনো আয় হবে না। আয়ের পরিমাণ নির্ভর করবে আপনার স্টোরির ভিউ সংখ্যা, এনগেজমেন্টের হার এবং তাতে প্রদর্শিত বিজ্ঞাপনের ধরনের ওপর। বিশেষ করে, উন্নত দেশ থেকে যত বেশি দর্শক আসবে, ততই আপনার আয় বাড়বে।
এই সুবিধাটি চালু করতে, আপনাকে প্রথমে আপনার ক্রিয়েটর স্টুডিও বা মেটা বিজনেস সুইটে গিয়ে মনিটাইজেশন সেকশনে প্রবেশ করে যোগ্যতা যাচাই করতে হবে। একবার যোগ্যতা অর্জন করলে, আপনি আপনার স্টোরিতে ইন-স্টোরি অ্যাড বা অ্যাড ব্রেকস যুক্ত করতে পারবেন। নিয়মিত কনটেন্ট পোস্ট করা, প্রতিদিন অন্তত ৩-৫টি স্টোরি দেওয়া, এবং পোল, কুইজ ও স্টিকারের মতো ইন্টারেক্টিভ ফিচার ব্যবহার করলে এনগেজমেন্ট বাড়বে, যা আয়ের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করবে।
এটি কেবল একটি আর্থিক সুযোগ নয়, বরং এটি আমাদের তরুণ প্রজন্মের জন্য নিজেদের সৃজনশীলতা ও প্রযুক্তিগত জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার এক দারুণ প্ল্যাটফর্ম। আপনার হাতের স্মার্টফোন এবং সৃজনশীল স্টোরিই এখন আপনার আয়ের প্রধান হাতিয়ার। (সূত্র: মেটা বিজনেস সুইট)