রাজধানীর মৌচাক এলাকায় একটি মসজিদে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিদ্ধেশ্বরী স্কুলের পাশের মসজিদটিতে আগুন লাগার খবর পাওয়ার পরপরই ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, যখন ইবাদতকারীরা দিনের শেষে পবিত্র স্থানে প্রার্থনা করেন, তখন কেন সেখানে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটলো?
সন্ধ্যা ৭টা ১২ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের কাছে আগুনের খবর আসে। ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রোজিনা আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানা না গেলেও, এটি কি নিছকই বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো রহস্য লুকিয়ে আছে?
একটি মসজিদ, যা মানুষের প্রার্থনা ও শান্তির স্থান, সেখানে আগুন লাগার ঘটনাটি শুধু একটি দুর্ঘটনা নয়, বরং এটি একটি গভীর উদ্বেগের বিষয়। এটি কি প্রমাণ করে যে, আমাদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যাপ্ত নয়?
এই ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি। কিন্তু স্থানীয়দের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে। মসজিদের ভেতরের পরিস্থিতি এবং পবিত্র ধর্মগ্রন্থগুলোর কোনো ক্ষতি হয়েছে কিনা, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন তারা।
প্রশ্ন হলো, যখন আমাদের ধর্মীয় স্থানগুলোই নিরাপদ নয়, তখন কি সমাজে শান্তি ও নিরাপত্তা আশা করা যায়?