দেশের প্রকৌশল শিক্ষার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে নতুন করে মেধা যাচাইয়ের এক কঠিন প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হচ্ছে। ১৩০৯টি আসনের বিপরীতে প্রায় ২৪ হাজার শিক্ষার্থী প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই কঠোর মানদণ্ড কি সত্যিই দেশের সেরা প্রকৌশলীদের খুঁজে বের করতে পারবে, নাকি এর পেছনের প্রক্রিয়া আরও জটিল?
বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা দুটি ধাপে বিভক্ত:
১. প্রিলিমিনারি পরীক্ষা (MCQ): প্রথম ধাপে ২৪ হাজার শিক্ষার্থী ১০০ নম্বরের এক ঘণ্টার একটি এমসিকিউ পরীক্ষায় অংশ নেবে। এই পরীক্ষায় ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা হবে। এই ধাপের নম্বর চূড়ান্ত ফলাফলে যোগ হবে না।
২. লিখিত পরীক্ষা: প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রথম ৭৫০০ জন শিক্ষার্থী ৪০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবে। এই পরীক্ষার নম্বরই চূড়ান্ত মেধা তালিকা নির্ধারণ করবে। আর্কিটেকচার বিভাগের জন্য লিখিত পরীক্ষার সঙ্গে অতিরিক্ত ৪০০ নম্বরের মুক্তহস্ত অঙ্কন পরীক্ষাও রয়েছে।
বুয়েটে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম যোগ্যতা হিসেবে এসএসসি এবং এইচএসসিতে যথাক্রমে ৪.০০ এবং ৫.০০ জিপিএ থাকতে হবে। এছাড়া, উচ্চতর গণিত, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নে আলাদাভাবে ৫.০০ জিপিএ থাকা বাধ্যতামূলক।
এই কঠোর শর্তাবলী এবং দুই ধাপের পরীক্ষা প্রক্রিয়া কি শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করছে? একটি মাত্র পরীক্ষার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে একজন শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করা কতটা যৌক্তিক?
প্রশ্ন হলো, যখন একটি দেশের সবচেয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীরা এমন কঠিন পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যায়, তখন কি আমরা তাদের মেধার সঠিক মূল্যায়ন করতে পারি? এই ভর্তি প্রক্রিয়া কি সত্যিই মেধার পরিচায়ক, নাকি এটি শুধুই এক অপ্রয়োজনীয় চাপ?