দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আবারও এক নতুন সমীকরণ তৈরি হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের বাবা আজিজুর রহমান বাচ্চু লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে তিনি মোরগ প্রতীকে ২৬৬ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন।
এই নির্বাচন প্রমাণ করে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে পারিবারিক যোগসূত্র কতটা শক্তিশালী। আজিজুর রহমান বাচ্চু দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত। এর আগে তিনি একই ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। রামগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোজাম্মেল হক বলেছেন, "দলের দুর্দিনে তিনি নেতা-কর্মীদের পাশে ছিলেন। তাঁর আন্তরিকতা ও জনপ্রিয়তার কারণেই নেতা-কর্মীরা তাঁকে আবারও নির্বাচিত করেছেন।"
অন্যদিকে, তাঁর বড় ছেলে মাহবুব আলম বর্তমানে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্বে রয়েছেন, যা রাজনৈতিকভাবে আরও তাৎপর্যপূর্ণ।
ইছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির এই নির্বাচনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, "বিএনপির জাতীয় নেতৃত্বে তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরবেন, নির্বাচনে অংশ নেবেন এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেবেন।" তিনি আরও বলেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বেই জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠেছে।
এই ধরনের বক্তব্য কি শুধু নেতা-কর্মীদের মনোবল বাড়ানোর জন্য, নাকি এর পেছনে রয়েছে কোনো বাস্তব রাজনৈতিক পরিকল্পনা?
প্রশ্ন হলো, যখন একটি পরিবারের সদস্যরা ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক দলে গুরুত্বপূর্ণ পদে অবস্থান করেন, তখন কি তা রাজনীতিতে আদর্শিক সংঘাতের জন্ম দেয়? এটি কি বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে একটি নতুন ধারা?