প্রেম কি সত্যিই বয়স মানে না? জাপানে ঘটল তেমনই এক অবাক করা ঘটনা। ৬৩ বছর বয়সী এক নারী বিয়ে করেছেন মাত্র ৩১ বছরের এক তরুণকে, যিনি তার একমাত্র ছেলের চেয়েও ছয় বছরের ছোট! এই অসম প্রেমের গল্পটি এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা ও মিশ্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে।
২০২০ সালে টোকিওর একটি ক্যাফেতে দুজনের প্রথম দেখা হয়। কাকতালীয়ভাবে এক সপ্তাহ পর আবার দেখা হলে তাদের মধ্যে আলাপ শুরু হয়, যা ধীরে ধীরে গভীর সম্পর্কে পরিণত হয়। নারীটি, যার নাম আজারাশি, দুই দশক আগে তালাকপ্রাপ্ত হন এবং এরপর একাই ছেলেকে বড় করেন। ডেটিং অ্যাপ ব্যবহার করলেও তিনি আর সম্পর্কে জড়াননি। কিন্তু এই তরুণের সঙ্গে পরিচয়ের পর প্রতিদিন তারা এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে কথা বলতেন।
আজারাশি বলেন, "আমি যা-ই বলি না কেন, সে মন দিয়ে শোনে। সে একজন খুব ভালো শ্রোতা, এতে আমি সত্যিই খুশি হয়েছি।" তাদের সম্পর্কের এক মাসের মধ্যেই তারা একে অপরের প্রকৃত বয়স জানতে পারেন। অবাক করার বিষয় হলো, আজারাশির ছেলে মায়ের এই সম্পর্ককে শুরু থেকেই সমর্থন দেন। যদিও তরুণের মা প্রথমে আপত্তি জানালেও, পরবর্তীতে ছেলের জোরাজুরিতে তিনি রাজি হয়ে যান।
২০২২ সালে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে করেন এবং বর্তমানে একটি ম্যারেজ এজেন্সি চালাচ্ছেন। এই ঘটনাটি ভালোবাসা এবং বয়সের প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে। নেটিজেনদের মধ্যে কেউ কেউ এই সম্পর্ককে সত্যিকারের ভালোবাসার উদাহরণ হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ কেউ বয়সের এই বিশাল পার্থক্য নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন। তবে, জাপানে এই ধরনের ঘটনা নতুন নয়। এর আগে ২৩ বছরের এক যুবক তার ৮৩ বছর বয়সী সহপাঠীর দাদিকে ভালোবেসেছিলেন, এবং প্রায় ৬০ বছরের ব্যবধান থাকা সত্ত্বেও তারা একসঙ্গে বসবাস করছেন। (সূত্র: সামাজিক মাধ্যম ও জাপানের সংবাদমাধ্যম)