হলিউডের জৌলুস নয়, এবার বিশ্বনেতাদের নৈশভোজের টেবিলে স্থান পেলেন প্রযুক্তির মহারথীরা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফরে আয়োজিত এক রাষ্ট্রীয় ভোজসভায় অ্যাপলের সিইও টিম কুক, ওপেনএআই-এর স্যাম অল্টম্যান এবং মাইক্রোসফটের সত্য নাদেলা-র মতো শীর্ষ প্রযুক্তিবিদদের উপস্থিতি বিশ্বকে এক নতুন বার্তা দিয়েছে। এটি কেবল একটি সামাজিক আয়োজন নয়, বরং এটি এআই যুগে বিশ্ব অর্থনীতির পরিবর্তিত চাহিদার এক স্পষ্ট প্রতিফলন।
বুধবার ট্রাম্পের দ্বিতীয় যুক্তরাজ্য সফরের সময় এই ভোজসভার আয়োজন করা হয়। নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অতিথিদের তালিকায় আরও ছিলেন এনভিডিয়ার সিইও জেনসেন হুয়াং, গুগল ও অ্যালফাবেটের প্রেসিডেন্ট রুথ পোরাট, এবং সেলসফোর্সের সিইও মার্ক বেনিওফ। হলিউডের তারকাদের চেয়ে প্রযুক্তি এবং ব্যবসায়িক ব্যক্তিত্বদের এমন প্রাধান্য প্রমাণ করে, ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে এখন প্রযুক্তির গুরুত্ব কতটা বেশি।
এই সফরের একটি বড় অর্জন হলো, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে ‘টেক প্রসপারিটি ডিল’ নামে একটি অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষর। এই চুক্তির মূল লক্ষ্য পারমাণবিক, এআই এবং কোয়ান্টাম প্রযুক্তির উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করা। এর আগে গুগল, মাইক্রোসফ্ট, এনভিডিয়া এবং ওপেনএআই-এর মতো বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো যুক্তরাজ্যে ডেটা সেন্টার তৈরির ঘোষণা দেয় এবং £৩১ বিলিয়ন ($৪২ বিলিয়ন) অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দেয়। এই বিশাল বিনিয়োগগুলো আমাদের বুঝিয়ে দেয়, আন্তর্জাতিক সম্পর্কে এখন এআই এবং প্রযুক্তি কত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
গত বছর থেকেই ট্রাম্প প্রশাসন প্রযুক্তির উপর তীব্র মনোযোগ দিয়েছে। তিনি অ্যাপলের সরবরাহ শৃঙ্খলের সমালোচনা করেছেন, 'অ্যান্টি-ওক' এআই আদেশে স্বাক্ষর করেছেন এবং অ্যাটর্নি জেনারেলকে 'অবৈধ' DEI প্রোগ্রামগুলোর তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রযুক্তি এখন শুধু ব্যবসার বিষয় নয়, এটি রাজনীতি এবং ক্ষমতা প্রদর্শনেরও একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে উঠেছে। (সূত্র: নিউ ইয়র্ক টাইমস ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম)