ঢাকা | বঙ্গাব্দ

বুলেট বুকে নিলো নেপালের তরুণরা! কারণ কী?

  • প্রকাশের তারিখ : 8-সেপ্টেম্বর-2025 ইং
প্রযুক্তির কণ্ঠরোধ, বুলেট বুকে নিলো নেপালের তরুণরা! কারণ কী? ছবির ক্যাপশন: প্রযুক্তির কণ্ঠরোধ, বুলেট বুকে নিলো নেপালের তরুণরা! কারণ কী?

একুশ শতকে এসেও কী মানুষের কণ্ঠরোধ করা সম্ভব? নেপালের তরুণ সমাজ প্রমাণ করে দিলো, প্রতিবাদকে বুলেট দিয়ে ঠেকানো যায় না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ এবং সরকারি দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে আজ সোমবার রাজপথে নেমেছে হাজারো তরুণ, যাদের ওপর পুলিশ গুলি চালালে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন। এই মর্মান্তিক ঘটনাটি প্রযুক্তি ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর এক ভয়ংকর আঘাত।

ঘটনার সূত্রপাত নেপাল সরকারের ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে ঘিরে। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব, রেডিটের মতো জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মগুলো বন্ধ করে দেওয়ায় তরুণ প্রজন্মের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। সরকার দাবি করছে, এসব প্ল্যাটফর্ম নতুন আইন অনুযায়ী নিবন্ধন না করায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সমালোচকরা মনে করেন, সরকারের মূল উদ্দেশ্য ভিন্নমতের কণ্ঠরোধ করা।

এই আন্দোলন কেবল প্রযুক্তির স্বাধীনতার জন্য নয়, বরং দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভেরও বহিঃপ্রকাশ। একজন খ্যাতিমান অভিনেতা হরিবংশ আচার্য যেমন বলেছেন, "আজকের তরুণেরা শুধু ভাবে না—প্রশ্নও করে। কেন এই রাস্তা ভেঙে পড়ল? দায়ী কে? এটি ব্যবস্থার বিরুদ্ধে নয়, বরং যারা এর অপব্যবহার করে, তাদের বিরুদ্ধে কণ্ঠস্বর।" এই উক্তিটি একটি গভীর দার্শনিক বার্তা বহন করে। এটি একটি জাতির তরুণ সমাজের জাগরণের প্রতীক।

আইনগত দৃষ্টিকোণ থেকে, এই ধরনের পরিস্থিতিতে শান্তিপূর্ণ সমাবেশে গুলি চালানো একটি গুরুতর অপরাধ এবং মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। এটি একটি গণতান্ত্রিক সমাজের জন্য অশনি সংকেত। যখন কোনো সরকার জনগণের মতপ্রকাশের অধিকার কেড়ে নেয়, তখন তা সমাজে আরও বেশি অস্থিরতা ও বিভাজন তৈরি করে। (সূত্র: নেপালি মিডিয়া, স্থানীয় চিকিৎসক)


ad728
কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য
বেঙ্গল প্রেস ডেস্ক

বেঙ্গল প্রেস ডেস্ক