মাত্র দু'দিন আগে সিলেটের গোয়াইনঘাটে আটক হয়েছিলেন শীর্ষ সন্ত্রাসী ‘শুটার রিয়াজ’। এবার তার সন্ত্রাসী বাহিনীর মেরুদণ্ড ভেঙে দিল যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযান। আজ শুক্রবার সকালে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থেকে অস্ত্র, গুলি ও মাদকসহ রিয়াজ বাহিনীর পাঁচজন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যা অপরাধের চক্র ভাঙার এক নতুন অধ্যায়।
পূর্বাচল আর্মি ক্যাম্প এবং রূপগঞ্জ থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে শুক্রবার সকালে মাছিমপুর এলাকা থেকে এই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—রমজান মোল্লা (৩৫), সবুজ (২৬), মেহেদী হাসান (২৫), এনামুল হক (২৫) ও সুমন হোসেন (২৩)। তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ১০ রাউন্ড গুলি, ১৪টি বারুদ বোমা, ছয় বোতল ফেনসিডিল, নয় পিস ইয়াবা, ১৫ গ্রাম গাঁজা এবং বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। পূর্বাচল আর্মি ক্যাম্প থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এই আটকের ঘটনা প্রমাণ করে যে, একজন শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার হলেও তার অপরাধী চক্রটি সক্রিয় থাকতে পারে। এই চক্রের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে রূপগঞ্জের মুড়াপাড়া এলাকায় ভূমিদস্যুতা, চাঁদাবাজি এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল, যার ফলে এলাকাবাসী এক অজানা আতঙ্কে জীবনযাপন করছিল। এটি কেবল একটি অপরাধ দমন নয়, বরং এটি সাধারণ মানুষের জন্য নিরাপত্তা ও স্বস্তির এক বার্তা।
আইন ও সমাজবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে, এই ঘটনা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরে: অপরাধীরা সবসময় একটি নেটওয়ার্কের অংশ হয়ে কাজ করে। প্রধান অপরাধী আটক হলেও তার সহযোগীরা সমাজের ক্ষতি করে যেতে পারে, যদি না তাদেরও আইনের আওতায় আনা হয়। এই অভিযান সরকারের পক্ষ থেকে সন্ত্রাস, মাদক ও অবৈধ অস্ত্রের বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা নীতির একটি স্পষ্ট প্রতিফলন।
পূর্বাচল আর্মি ক্যাম্প নিশ্চিত করেছে, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সন্ত্রাস, মাদক ও অবৈধ অস্ত্র নির্মূলে তাদের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে। এই ধরনের ধারাবাহিক অভিযানই একটি সুস্থ ও নিরাপদ সমাজ গঠনের একমাত্র পথ। (সূত্র: পূর্বাচল আর্মি ক্যাম্প)