ঢাকা | বঙ্গাব্দ

বিকাশকর্মীকে অপহরণ! ভুয়া পুলিশ ধরল ৪২০!

  • প্রকাশের তারিখ : 4-সেপ্টেম্বর-2025 ইং
বিকাশকর্মীকে অপহরণ! ভুয়া পুলিশ ধরল ৪২০! ছবির ক্যাপশন: বিকাশকর্মীকে অপহরণ! ভুয়া পুলিশ ধরল ৪২০!

যেন সিনেমার দৃশ্য! নাটোরের বড়াইগ্রামে ভুয়া পুলিশের পরিচয়ে বিকাশকর্মী আতিকুলকে অপহরণ করে তার মোটরসাইকেল নিয়ে পালানোর সময় এক প্রতারককে হাতেনাতে ধরে ফেলেছে এলাকাবাসী। পরে তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। আটককৃত এই প্রতারকের নাম সালে আহমেদ, যার বাড়ি কুমিল্লার লাকসামে। তবে এই সময় আতিকুলকে অপহরণকারীরা নিজেদের সঙ্গে নিয়ে পালিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) পুলিশ আতিকুলকে উদ্ধার করেছে বলে নিশ্চিত করেছে।

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারওয়ার হোসেন জানান, বুধবার সকাল ১০টার দিকে বনপাড়া বিকাশ অফিস থেকে আতিকুল মৌখাড়া বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হন। পথে মহিষভাঙ্গা নটাবাড়িয়া জামে মসজিদের কাছে পৌঁছালে একটি মাইক্রোবাস থেকে কয়েকজন ব্যক্তি নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাকে ধরে গাড়িতে তুলে নেয়। এ সময় আতিকুলের এক সহকর্মী এর কারণ জানতে চাইলে তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে রেখে বলা হয় থানায় যেতে। পরবর্তীতে মোটরসাইকেলটি নেওয়ার জন্য এলে স্থানীয়রা ভুয়া পুলিশ সালে আহমেদকে ধরে ফেলে এবং পুলিশকে খবর দেয়। ততক্ষণে মাইক্রোবাসটি দ্রুত ঢাকার দিকে চলে যায়।

এই ঘটনা আমাদের তরুণ প্রজন্মের জন্য এক শিক্ষণীয় বিষয়। আজকাল সোশ্যাল মিডিয়া ও প্রযুক্তির সহজলভ্যতার কারণে মানুষ সহজে নিজেদের পরিচয় যাচাই করতে পারে। এই ধরনের অপরাধীরা এই সরলতাকে কাজে লাগিয়ে মানুষকে প্রতারিত করে। একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে, আমাদের অবশ্যই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় যাচাই করে নেওয়া উচিত।

ওসি গোলাম সারওয়ার হোসেন আরও বলেন, “অপহরণকারীরা দুপুরে ভুক্তভোগী আতিকুলকে টাঙ্গাইলের কালিহাতি এলাকায় ফেলে যায়।” পরবর্তীতে তাকে কালিহাতি থানা পুলিশের সহযোগিতায় নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে ভুয়া পুলিশ সালে আহমেদকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

আইনের দৃষ্টিকোণ থেকে, এই ধরনের প্রতারণা এবং অপহরণ একটি গুরুতর অপরাধ। দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় এই ধরনের প্রতারণার জন্য কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। পাশাপাশি, পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণা করা একটি গুরুতর ফৌজদারি অপরাধ। এই ঘটনা থেকে বোঝা যায়, শুধু প্রযুক্তিগত জ্ঞান নয়, বরং আমাদের সাধারণ জ্ঞানের ব্যবহারও জরুরি। যদি এই ধরনের পরিস্থিতি আবারও তৈরি হয়, তাহলে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পুলিশের পরিচয় যাচাই করার সুযোগ থাকা উচিত।

(সূত্র: বড়াইগ্রাম থানা ও ভুক্তভোগী আতিকুল)


ad728
কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য
বেঙ্গল প্রেস ডেস্ক

বেঙ্গল প্রেস ডেস্ক