ঢাকা | বঙ্গাব্দ

এক ছাতার নিচে ২১ শতকের ডিজিটাল বাংলাদেশ!

  • প্রকাশের তারিখ : 4-সেপ্টেম্বর-2025 ইং
এক ছাতার নিচে ২১ শতকের ডিজিটাল বাংলাদেশ! ছবির ক্যাপশন: এক ছাতার নিচে ২১ শতকের ডিজিটাল বাংলাদেশ!

স্বপ্ন এখন হাতের মুঠোয়! নাগরিক সেবা কেন্দ্রে এবার মিলবে পাসপোর্টের আবেদন থেকে শুরু করে সব ধরনের সরকারি সেবা। হয়রানিমুক্ত ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে, প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিকবিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী রাজধানীতে নাগরিক সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে এই যুগান্তকারী উদ্যোগের উদ্বোধন করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের একটি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এই খবরটি ছড়িয়ে পড়ে।

ফয়েজ আহমদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখন নাগরিক সেবা পাইলট এবং লার্নিং প্রোগ্রামের আওতায় প্রায় ৪০০টি সেবা পাওয়া যাচ্ছে, যা দেশের সরকারি অফিস, উপজেলা পরিষদ এবং জেলা পরিষদ থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে। এই সেবাগুলোর মধ্যে পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন, এনআইডি এবং ভূমি নামজারি পর্চার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো অন্তর্ভুক্ত। এই ডিজিটাল সংযোগটি কেবল সময়ের অপচয়ই কমাবে না, বরং দুর্নীতির সুযোগও অনেকাংশে হ্রাস করবে। এই উদ্যোগটি বর্তমান ডিজিটাল প্রজন্মের জন্য এক নতুন দিক খুলে দিয়েছে, কারণ এখন ঘরে বসেই প্রযুক্তির মাধ্যমে শত শত সরকারি সেবা এক জায়গায় পাওয়া যাচ্ছে।

আগামীতে এই পাইলট প্রোগ্রামটি আরো বড় পরিসরে চালু হবে। এই মাসের শেষে গুলশান ১, উত্তরা সেক্টর ৬, নীলক্ষেত, রমনা, মোহাম্মদপুর এবং বনশ্রী—ঢাকার এই ৬টি স্থানে ১০টি নাগরিক সেবা কেন্দ্র একযোগে চালু হবে। এরই মধ্যে গুলশান ১, উত্তরা এবং নীলক্ষেতের কেন্দ্রগুলো পুরোদমে কাজ শুরু করেছে, যা সেবাগ্রহীতাদের জন্য একটি বিরাট স্বস্তির খবর।

ফয়েজ আহমদ তার পোস্টে এই উদ্যোগকে ‘বাংলাদেশের প্রথম সিটিজেন সার্ভিস কানেক্টিভিটি হাব’ বলে অভিহিত করেছেন। তার মতে, অতীতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অনলাইন সেবাগুলো ‘ডিজিটাল আইল্যান্ড’ হিসেবে কাজ করত, কিন্তু নাগরিক সেবা এই আইল্যান্ডগুলোকে ‘ইন্টারকানেক্ট’ এবং ‘ইন্টারঅপারেবল’ করবে। এর ফলে নাগরিকদেরকে ভিন্ন ভিন্ন অফিসের শত শত ওয়েবসাইটে গিয়ে আলাদাভাবে আবেদনের প্রয়োজন হবে না, যা তাদের মানসিক চাপ অনেকটাই কমাবে।

এই ধরনের উদ্যোগ শুধু প্রশাসনিক সুবিধাই দেয় না, বরং মানুষের মনস্তত্ত্বে এক ইতিবাচক পরিবর্তন আনে। যখন সাধারণ মানুষ অনুভব করে যে তাদের জন্য সরকার সহজ এবং স্বচ্ছ ব্যবস্থা তৈরি করছে, তখন তাদের মনে দেশ ও রাষ্ট্রের প্রতি আস্থা বৃদ্ধি পায়। এটি কেবল একটি প্রযুক্তিগত উন্নয়ন নয়, বরং একটি দার্শনিক পরিবর্তনও বটে, যা একটি গণতান্ত্রিক সমাজের মূল ভিত্তি।

(সূত্র: প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব)


ad728
কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য
বেঙ্গল প্রেস ডেস্ক

বেঙ্গল প্রেস ডেস্ক