চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে এক মর্মান্তিক ঘটনায় রেশমা আক্তার (১৯) নামে এক গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। একই বাড়ির অন্য কক্ষে তার স্বামী মো. ইব্রাহীমকে (২০) গুরুতর আহত অবস্থায় ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। এটি কি কেবলই একটি পারিবারিক ট্র্যাজেডি, নাকি এর পেছনে লুকিয়ে আছে গভীর কোনো রহস্য?
পারিবারিক অসম্মতি, ভালোবাসার বিয়োগ
এই তরুণ দম্পতি বছরখানেক আগে পারিবারিক অমতে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন। তাদের সংসারে আট মাস বয়সী একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। তারা রেশমার ফুফুর বাসায় আলাদা কক্ষে থাকতেন। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে রেশমার ফুফু ও তার স্বামী ঘরে ফিরে এই ভয়াবহ দৃশ্য দেখতে পান।
রেশমার গলাকাটা লাশ দেখে পুলিশকে খবর দেওয়া হয় এবং গুরুতর আহত অবস্থায় ইব্রাহীমকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনাটি কি প্রমাণ করে যে, ভালোবাসার বিয়ে এখনো আমাদের সমাজে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়?
তদন্তের মুখে রহস্য
কর্ণফুলী থানার ওসি মোহাম্মদ শরীফ জানিয়েছেন, ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে তদন্ত চলছে। এই ধরনের ঘটনায় সাধারণত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেকার কলহকে প্রাথমিকভাবে কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু এই ঘটনায় অন্য কোনো কারণ থাকতে পারে কি?
যখন একটি নিষ্পাপ শিশু তার বাবা-মাকে একসঙ্গে হারায়, তখন তার ভবিষ্যতের কী হবে? এই ধরনের ঘটনা কি আমাদের পারিবারিক ও সামাজিক কাঠামোর দুর্বলতাকে তুলে ধরে না?
প্রশ্ন হলো, যখন ভালোবাসার সম্পর্ক এমন ভয়ানক পরিণতির দিকে নিয়ে যায়, তখন কি আমরা আমাদের পারিবারিক মূল্যবোধের দিকে ফিরে তাকাতে বাধ্য নই?