কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে সাপে কাটা এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, হাসপাতালে সময়মতো সাপের বিষের প্রতিষেধক অ্যান্টিভেনম না থাকার কারণেই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, যখন আমাদের স্বাস্থ্য খাতকে আধুনিক করার কথা বলা হয়, তখন কেন এই ধরনের মৌলিক চিকিৎসার অভাব থাকে?
অ্যান্টিভেনম সংকট: কে নেবে এর দায়?
গ্রামাঞ্চলে সাপে কাটার ঘটনা খুবই সাধারণ। এই ধরনের রোগীদের জন্য দ্রুততম সময়ে অ্যান্টিভেনম দেওয়া জীবন বাঁচানোর একমাত্র উপায়। কিন্তু কুষ্টিয়ার এই ঘটনা প্রমাণ করে যে, আমাদের হাসপাতালগুলোতে এই জরুরি ওষুধটির পর্যাপ্ত সরবরাহ নেই।
এই ধরনের মৃত্যু কি কেবলই একটি দুর্ঘটনা, নাকি এটি আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগের এক চরম ব্যর্থতা? যখন একটি জীবন বাঁচানোর জন্য জরুরি ওষুধটুকুও পাওয়া যায় না, তখন আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর মানুষের আস্থা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়?
গণমানুষের প্রশ্ন: 'আর কত প্রাণ যাবে?'
এই ঘটনাটি নতুন নয়। এর আগেও সাপে কাটা অনেক রোগীর মৃত্যুর খবর এসেছে, যার কারণ ছিল অ্যান্টিভেনমের অভাব। এটি কি প্রমাণ করে না যে, আমাদের স্বাস্থ্য খাত এই সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ?
জনগণের মনে এখন একটাই প্রশ্ন: এই ধরনের অপ্রস্তুতি আর কতদিন চলবে? আর কত প্রাণ এভাবে ঝরে গেলে আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ঘুম ভাঙবে?
প্রশ্ন হলো, যখন একটি জীবন ওষুধের অভাবে চলে যায়, তখন কি এটি একটি হত্যাকাণ্ড বলে গণ্য করা উচিত নয়?