বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এক বিতর্কিত সিদ্ধান্তে এখন তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ও লোগো ব্যবহার করে পরিচালিত সব ফেসবুক পেজ ও গ্রুপ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। তাদের দাবি, এই পেজগুলো থেকে মিথ্যা ও উসকানিমূলক তথ্য ছড়ানো হয়। কিন্তু প্রশ্ন হলো, মিথ্যা তথ্য ছড়ানো পেজগুলো শনাক্ত না করে কেন সব পেজ বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হলো? এটি কি সমালোচনার ভয়ে এক ভুল সিদ্ধান্ত?
প্রশাসনের ব্যর্থতা, শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ
আসল সমস্যা হলো কিছু 'ফেক' পেজ, যেগুলো থেকে ভুল তথ্য ছড়ানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত ছিল সেই পেজগুলোকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। কিন্তু তারা তা না করে সহজ পথ বেছে নিয়েছে—সব পেজ বন্ধ করে দিয়েছে।
অথচ, এই পেজ এবং গ্রুপগুলো নতুন ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য তথ্যের প্রধান উৎস। প্রাক্তন শিক্ষার্থীরাও এসবের মাধ্যমে ক্যাম্পাসের খবরাখবর জানতে পারেন। যখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিজেরা অফিসিয়াল পেজ বা ওয়েবসাইট নিয়মিত আপডেট করে না, তখন এই স্বেচ্ছাসেবী উদ্যোগগুলো বন্ধ করে দেওয়া কি শিক্ষার্থীদের প্রতি এক ধরনের অবিচার নয়?
অনিবন্ধিত ক্লাবের ভবিষ্যত কি?
বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু নিবন্ধিত ক্লাব থাকলেও, অনেক অনিবন্ধিত ক্লাব তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এসব ক্লাবের পেজগুলোও কি এখন বন্ধ করে দেওয়া হবে? তাহলে কি এসব ক্লাবের এডমিন ও মডারেটরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে?
একইভাবে, সারা দেশ থেকে আসা শিক্ষার্থীরা তাদের নিজ নিজ এলাকার নামে যে অ্যাসোসিয়েশনগুলো তৈরি করেছে, তাদের পেজগুলোও কি এখন বন্ধ করে দেওয়া হবে? এটি কি শিক্ষার্থীদের মধ্যে এক ধরনের বিভাজন তৈরি করবে?
প্রশ্ন হলো, যে প্রশাসন ১৮ বছরেও একটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন তৈরি করতে পারে না, সেই প্রশাসনের কি এই ধরনের কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার নৈতিক অধিকার আছে?