কুষ্টিয়া, ২৫ আগস্ট ২০২৫: কুষ্টিয়া জেলা পুলিশে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আজ হারিয়ে যাওয়া ১৭টি মোবাইল ফোন তাদের প্রকৃত মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই কাজটি সম্পন্ন করেছে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল, কুষ্টিয়া। এই উদ্যোগটি নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়, কিন্তু এই ধরনের তৎপরতা কি সমাজে অপরাধ কমাতে যথেষ্ট, নাকি এর পেছনে রয়েছে আরও বড় কোনো পরিকল্পনা?
মোবাইল চুরি: এক সামাজিক ব্যাধি
মোবাইল ফোন চুরি বা হারিয়ে যাওয়া এখন এক সাধারণ ঘটনা। পুলিশ সুপার জনাব মোঃ মিজানুর রহমান নিজে উদ্ধারকৃত ফোনগুলো হস্তান্তর করেছেন। এই অনুষ্ঠানে তিনি মোবাইল হারিয়ে গেলে বা চুরি হলে অবশ্যই জিডি বা মামলা করার পরামর্শ দিয়েছেন। এই পরামর্শটি কতটা কার্যকর, যখন অনেক ক্ষেত্রেই জিডি করার পর কোনো ফলাফল পাওয়া যায় না?
অ্যাকশন মোডে পুলিশ: 'ভবিষ্যতে কঠোর ব্যবস্থা'
পুলিশ সুপার তার বক্তব্যে মোবাইল চোরদের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার অভিমত ব্যক্ত করেছেন। এটি কি একটি সতর্কবার্তা, নাকি কেবলই কথার কথা? যখন অপরাধীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায়, তখন এই ধরনের বিবৃতি কি জনগণের মনে আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারবে?
পুলিশের এই সাফল্য প্রমাণ করে যে, যথাযথ উদ্যোগ নিলে অপরাধ দমন সম্ভব। কিন্তু এই তৎপরতা কি কেবল প্রচারণার জন্য, নাকি জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য?
প্রশ্ন হলো, সাইবার ক্রাইম সেল যদি এতই কার্যকর হয়, তাহলে কেন অন্যান্য সাইবার অপরাধ, যেমন অনলাইন প্রতারণা বা হয়রানি, বন্ধ করা যাচ্ছে না?