কুষ্টিয়া, ২৫ আগস্ট ২০২৫: কুষ্টিয়া জেলা পরিষদ ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে তাদের রাজস্ব তহবিল থেকে মেধাবী ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে এককালীন শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করেছে। এই উদ্যোগটি কি প্রমাণ করে যে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা চাইলে শিক্ষাক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে?
আজ, ২৫ আগস্ট, সকাল ১১টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এই শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ও জেলা পরিষদের প্রশাসক মো: তৌফিকুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার জনাব মোঃ মিজানুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা. শেখ মোহাম্মদ কামাল হোসেন, এবং জেলা শিক্ষা অফিসার জনাব আবু তৈয়ব মোঃ ইউনুছ আলী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুকুল কুমার মৈত্র।
মেধাবী মুখ, যাদের দরকার ছিল একটু সহায়তা
এই শিক্ষাবৃত্তি হাজারো মেধাবী শিক্ষার্থীর স্বপ্ন পূরণের এক ক্ষুদ্র প্রয়াস। আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে অনেক সময় অনেক সম্ভাবনাময় শিক্ষার্থী তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে না। জেলা পরিষদের এই উদ্যোগটি তাদের জন্য এক নতুন আশার আলো।
কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই ধরনের শিক্ষাবৃত্তি কি যথেষ্ট? দেশের প্রতিটি জেলা পরিষদ যদি এই ধরনের উদ্যোগ নেয়, তাহলে কি আমরা শিক্ষাক্ষেত্রে একটি বড় পরিবর্তন দেখতে পাবো?
সমন্বিত প্রচেষ্টা: একটি সুস্থ সমাজের ভিত্তি
এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন খাতের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের উপস্থিতি প্রমাণ করে যে, একটি সুস্থ ও শিক্ষিত সমাজ গঠনে সম্মিলিত প্রচেষ্টা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। পুলিশ, স্বাস্থ্য, এবং শিক্ষা—এই তিন বিভাগের প্রধানরা যখন শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ান, তখন তা সমাজের জন্য একটি ইতিবাচক বার্তা বহন করে।
প্রশ্ন হলো, এই ধরনের উদ্যোগ কি কেবল এককালীন একটি অনুষ্ঠান হয়ে থাকবে, নাকি এটি একটি টেকসই পরিকল্পনা হিসেবে চলতে থাকবে?