আজ ১৬ আগস্ট, বাংলা রক সঙ্গীতের অবিসংবাদিত কিংবদন্তি আইয়ুব বাচ্চুর জন্মদিন। ১৯৬২ সালের এই দিনে তিনি চট্টগ্রামের পটিয়াতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার শারীরিক অনুপস্থিতি সত্ত্বেও, তার গিটারের রেশ আর কালজয়ী গানগুলো আজও লক্ষ লক্ষ ভক্তের মনে জীবন্ত। এটি কেবল একটি জন্মবার্ষিকী নয়, এটি তার সেই অসামান্য সৃষ্টিকর্মের প্রতি আমাদের ভালোবাসার এক বিশেষ প্রতিচ্ছবি।
একটি নাম, একটি প্রতিষ্ঠান: রক সঙ্গীতের জাদুকর
আইয়ুব বাচ্চু শুধু একজন শিল্পী ছিলেন না, তিনি ছিলেন বাংলা সঙ্গীতের একটি প্রতিষ্ঠান। তার হাত ধরে 'লাভ রানস ব্লাইন্ড' (এলআরবি) ব্যান্ডের জন্ম হয়, যা বাংলা ব্যান্ড সঙ্গীতকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যায়। তার গানগুলোতে উঠে আসতো তারুণ্যের সব অনুভূতি—প্রেম, বিদ্রোহ, হতাশা, আর জীবনবোধ। "সেই তুমি," "চলো বদলে যাই," "হাসতে দেখো," এবং "রুপালী গিটার"—এমন শত শত গান আজও শ্রোতাদের হৃদয়ে গেঁথে আছে।
আইয়ুব বাচ্চুকে সবাই 'গিটার জাদুকর' বলতো। তার হাতে গিটার এলেই যেন সুরের এক অন্য জগত তৈরি হতো। তার এই জাদুকরী দক্ষতা হাজার হাজার তরুণকে গিটার হাতে নিতে অনুপ্রাণিত করেছে। তার গানগুলো আজও প্রজন্মের পর প্রজন্মকে প্রভাবিত করে চলেছে।
মৃত্যু নয়, অমরত্ব: রূপালী গিটার বাজছে আজও
২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর তার আকস্মিক মৃত্যু দেশের সঙ্গীত জগতে এক অপূরণীয় শূন্যতা তৈরি করে। কিন্তু তার গানগুলো আজও সমানভাবে জনপ্রিয়। আইয়ুব বাচ্চু নেই, কিন্তু তার সুর আছে। তার গিটার বাজছে না, কিন্তু তার গিটারের রেশ আজও শোনা যায়। তার জন্মদিনটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে কিছু কিছু মানুষ চলে গিয়েও তাদের সৃষ্টি দিয়ে অমর হয়ে থাকে।
এই দিনে আসুন আমরা সেই জাদুকরকে স্মরণ করি, যার গিটারের সুরে আজও আমাদের মন কাঁপে, যার গানে আজও আমরা খুঁজে পাই নিজেদের জীবনের প্রতিচ্ছবি।
প্রশ্ন একটাই, আপনার জীবনের কোন গানটি আইয়ুব বাচ্চুর? কমেন্টে জানান সেই গানের নাম।