কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আবারও ৯৮ জন বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে মালয়েশিয়া। গত কয়েকদিনে তিন দফায় এই নিয়ে প্রায় ৩০০ বাংলাদেশি ফেরত এলেন। পর্যটন ভিসায় মালয়েশিয়ায় প্রবেশের চেষ্টা করা এসব যাত্রীদের এই পরিণতি কি প্রমাণ করে, ভিসা প্রক্রিয়ায় কোনো বড় ধরনের অনিয়ম হচ্ছে?
ভিসা নয়, যেন এক রহস্যময় যাত্রা!
মালয়েশিয়ার সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ও সুরক্ষা সংস্থা (একে-পিএস) শুক্রবার ভোরে কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরের টার্মিনাল-১-এ একটি অভিযান পরিচালনা করে। তারা জানিয়েছে, রাত ১টা থেকে সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত এই অভিযানে মোট ১৮১ জন যাত্রীর কাগজপত্র যাচাই করা হয়। এর মধ্যে ৯৮ জন বাংলাদেশি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হলে তাদের প্রবেশে 'নো টু ল্যান্ড' নোটিশ দেওয়া হয়।
সংস্থাটি এক বিবৃতিতে বলেছে, আটক ব্যক্তিরা ভুয়া হোটেল বুকিং, রিটার্ন টিকিট না থাকা এবং পর্যাপ্ত অর্থের প্রমাণ দিতে পারেননি। তাদের সন্দেহ, এসব ব্যক্তি পর্যটন ভিসায় এসে অবৈধভাবে কাজ ও বসবাসের চেষ্টা করছিলেন।
এই ঘটনা কি কেবল ব্যক্তিগত অসচেতনতা, নাকি এর পেছনে মানব পাচারকারীদের কোনো চক্র কাজ করছে? কারণ, গত ১২ ও ১৩ আগস্টও একই কারণে ২০৪ জন বাংলাদেশিকে কুয়ালালামপুর বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।
ভোরের ফ্লাইট: উদ্দেশ্য কি দিনের কড়াকড়ি এড়ানো?
মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, এই যাত্রীরা ভোররাতে কুয়ালালামপুরে এসেছিলেন। তাদের ধারণা, দিনের বেলার কড়াকড়ি এড়াতেই তারা এই সময়কে বেছে নিয়েছিলেন। এই তথ্য কি ইঙ্গিত দেয় যে, এই পুরো প্রক্রিয়ার পেছনে একটি সুপরিকল্পিত চক্র কাজ করছে, যারা অভিবাসন আইনের ফাঁকফোকর ব্যবহার করে মানুষকে বিদেশে পাঠাচ্ছে?
প্রশ্ন একটাই, যখন বাংলাদেশি শ্রমিকদের বিদেশে যাওয়ার জন্য বৈধ প্রক্রিয়ায় হাজারো বাধা, তখন এই পর্যটন ভিসায় এত সংখ্যক মানুষের বিদেশ যাত্রা কি প্রমাণ করে, আন্তর্জাতিক মানব পাচারের এক নতুন রুট তৈরি হচ্ছে?