মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে যশোর ও চাঁদপুরে ঘটে গেল দুটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড। এক দিকে যশোর সদর উপজেলায় স্থানীয় এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে, অন্য দিকে চাঁদপুরে গুলি ও কুপিয়ে খুন করা হয়েছে এক অটোরিকশাচালককে। এই দুটি হত্যাকাণ্ডের পেছনে কি লুকিয়ে আছে একই ধরনের অপরাধের চিত্র, নাকি রাজনৈতিক ও স্থানীয় আধিপত্যের ভিন্ন ভিন্ন গল্প?
যশোরে যুবলীগ নেতা খুন: পূর্বশত্রুতার জেরে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড?
যশোর সদর উপজেলার দৌলতদিহি গ্রামের বাসিন্দা এবং যুবলীগের সক্রিয় কর্মী রেজাউল ইসলাম (৪৯)-কে মঙ্গলবার রাতে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তার স্ত্রী শিউলি বেগম জানান, রাত সাড়ে ১২টার দিকে মোবাইলে কল পেয়ে রেজাউল বাইরে যান এবং কিছুক্ষণ পরই প্রতিবেশীদের কাছ থেকে তার মৃত্যুর খবর পান। এলাকাবাসীর ভাষ্য, কয়েকজন লোক তাকে চায়ের দোকানে ডেকে নিয়ে যায় এবং বাড়ি ফেরার পথে তাকে গলা কেটে হত্যা করে।
যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি আবুল হাসনাত জানান, নিহতের বিরুদ্ধে থানায় ৯টি মামলা রয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার-এর মতে, এটি পূর্বশত্রুতার জেরে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এই হত্যাকাণ্ডের পেছনের রহস্য কি শুধু পুরানো শত্রুতা, নাকি এর সঙ্গে আরও বড় কোনো রাজনৈতিক যোগসূত্র আছে?
চাঁদপুরে অটোরিকশাচালক খুন: আধিপত্যের লড়াই, নাকি অন্য কিছু?
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার এখলাছপুর ইউনিয়নে বুধবার ভোরে অটোরিকশাচালক মিজানুর রহমান অভি (৩২)-এর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। অভি নারায়ণগঞ্জে পরিবার নিয়ে থাকতেন এবং চার-পাঁচ দিন আগে নিজ এলাকায় ফিরেছিলেন। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা গেছে, আধিপত্য নিয়ে তার সঙ্গে স্থানীয় সন্ত্রাসী নাহিদ গাজীর দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রনি গাজী নামে একজনকে আটক করেছে।
অভি’র হত্যাকাণ্ড কি শুধুই স্থানীয় আধিপত্যের লড়াইয়ের ফলাফল, নাকি এর পেছনে আরও কোনো অজানা কারণ রয়েছে?
প্রশ্ন হলো, যখন দেশে একের পর এক এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটছে, তখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা কী? এই ধরনের অপরাধ কি সমাজে একধরনের ভয়ের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করছে?