.png)
বেঙ্গল প্রেস ডেস্ক
সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া জানে আলম অপু'র একটি চাঞ্চল্যকর ভিডিও এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল। বুধবার রাতে ছড়িয়ে পড়া এই ৩৫ মিনিটের ভিডিওটি কি গুলশানের সেই ঘটনার পেছনের আসল সত্য তুলে ধরছে, নাকি এটি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের এক মরিয়া চেষ্টা?
অপুর দাবি: 'চাঁদাবাজি নয়, এটি ছিল অফিশিয়াল অভিযান'!
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে অপু নিজেই স্বীকার করেছেন যে, গুলশানের ওই ঘটনায় টাকার ব্যাগটি নিতে তাকেই দেখা গিয়েছিল। তবে তার দাবি, এটি কোনো চাঁদাবাজি ছিল না, বরং ছিল একটি "অফিশিয়াল অভিযান"। তিনি বলেন, “সেদিন ভোর ৫টার দিকে ডিসি ও এসিকে অবগত করে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে আমরা শাম্মির বাসায় অভিযান চালাই।”
অপু আরও দাবি করেন, এই অভিযানের আগেই উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সঙ্গে তার কথা হয়েছিল। কিন্তু এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো মিডিয়ায় আসেনি বলে তিনি অভিযোগ করেন।
অপুর চ্যালেঞ্জ: 'প্রকাশ করা হোক সিসিটিভি ফুটেজ'!
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে অপু আরও কিছু বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন যে, এই অভিযান ছিল পূর্ব পরিকল্পিত, এবং শাম্মী আহমেদের বাসায় থাকার তথ্য মিডিয়াতে গোপন রাখা হয়েছে। তিনি চ্যালেঞ্জ করে বলেন, “সৎ সাহস থাকলে আগের রাতের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করুন। দেখা যাক কে কার সঙ্গে কথা বলেছে এবং কীভাবে শাম্মী বাসা থেকে বের হয়েছেন।”
অপুর এই চ্যালেঞ্জ কি প্রমাণ করে যে, এই ঘটনার পেছনে এমন কিছু লুকানো আছে, যা সাধারণ মানুষ জানে না? তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে অভিযানের দাবি করে আরও বলেন, “সেখানে কী কথা হয়েছিল, সেটিও প্রকাশ করা হোক। সত্য উদ্ঘাটন হোক, অপপ্রচার নয়।”
প্রশ্ন হলো, অপুর এই দাবি কি বিশ্বাসযোগ্য? যদি এটি অফিশিয়াল অভিযানই হয়ে থাকে, তাহলে কেন তিনি আত্মগোপনে ছিলেন? আর যদি এটি পরিকল্পিত চাঁদাবাজি হয়, তাহলে এর পেছনে আর কারা জড়িত? এই প্রশ্নের উত্তর কি পাওয়া যাবে, নাকি এটি কেবলই ইতিহাসের পাতায় একটি অমীমাংসিত রহস্য হিসেবে থেকে যাবে?
